হোয়াইট হাউসে কেচ্ছা-কাহিনী
হোয়াইট হাউস - ছবি : সংগৃহীত
হোয়াইট হাউস। বলা যায় সাদা বাড়ি। এই সাদা বাড়িতে কলঙ্ক কিন্তু কম নয়। আর এসব কেলেঙ্কারিতে জাড়িয়েছেন অনেক নামিদামি লোক। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে অনেক কিছু ঘটেছে। যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আরো অনেকের বিরুদ্ধেই শোনা গেছে। তবে বিল ক্লিনটনসহ আরো অনেকের নামই তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এ নিয়ে গতি হারাতে হারাতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন কেনেডি। জন এফ কেনেডি কেনেডিও কম যাননি।
বিল ক্লিন্টন : ১৯৯৫ সালের নভেম্বর। মোনিকা লিউইনস্কি ইন্টার্নশিপ করতে এসেছিলেন হোয়াইট হাউসে। চিফ অফ স্টাফ লিওন প্যানেট্টার দপ্তরে। মোনিকার বয়স তখন ২২। সম্পর্কে জড়ান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। এক সহকর্মীকে ফোনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা বলছিলেন। তিনিই সব রেকর্ড করে নেন। প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস ইমপিচ করে ক্লিন্টনকে। সেনেট যদিও ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে নির্দোষ ঘোষণা করে। মেয়াদের বাকি সময় কোনওক্রমে কাটিয়ে দেন ক্লিন্টন।
জন এফ কেনেডি : বান্ধবী, অবৈধ প্রেমিকার তালিকা এতটাই দীর্ঘ ছিল, যে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সেই নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাত না। প্রেসিডেন্টের হোটেলে কোন কোন মহিলা ঢুকছেন, তা যাতে সাংবাদিকরা জানতে না পারেন, সেজন্য একবার কাজে নেমেছিল সিক্রেট সার্ভিস। বলা হয়, লাস্যময়ী নায়িকা মেরিলিন মনরোর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল কেনেডির। প্রেসিডেন্টের জন্মদিনে প্রকাশ্য পার্টিতে গান গেয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নায়িকা।
রিচার্ড নিক্সন : এফবিআই–এর ঘুম চটিয়েছিল নিক্সনের প্রণয়। হংকংয়ে হিলটন হোটেলের এক হোস্টেসের প্রেমে পড়েন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। নাম মারিয়ানা লিউ। সময়টা গত শতাব্দীর ছয়ের দশকের শেষ। এফবিআই–এর সন্দেহ হয়, লিউ গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন। অনেক তদন্ত চলে। শেষ পর্যন্ত গুপ্তচরবৃত্তির প্রমাণ মেলেনি। মারিয়ানা ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। যদিও কখনও নিক্সনের সঙ্গে অবৈধ প্রেমের কথা স্বীকার করেননি।
ওয়ারেন হার্ডিং : ২৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাত্র দু’বছর ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯২৩ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এর পরেই ‘বান্ধবী’ ন্যান ব্রিটন একটি বই প্রকাশ করেন। হার্ডিংয়ের থেকে ৩১ বছরের ছোট তিনি। তার বই থেকেই গোটা দুনিয়া জানতে পারে, হোয়াইট হাউসে যেখানে প্রেসিডেন্টের কোট রাখা হয়, যেখানেও যৌন সংসর্গ করেছিলেন হার্ডিং এবং ব্রিটন। ব্রিটনের গর্ভে অবৈধ সন্তানও রয়েছেন হার্ডিংয়ের।
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুসভেল্ট : সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্ত্রী এলিয়েনরের সচিব লুসি মার্সারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক দশক আগে থেকে। ১৯১৮ সালে স্বামী এবং লুসির কিছু চিঠি পান এলিয়েনর। রুসভেল্টের কেরিয়ারের স্বার্থে চাইলেও বিচ্ছেদ নেননি এলিয়েনর।
সূত্র : আজকাল