কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের টার্গেট কী
কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের টার্গেট কী - ছবি : সংগৃহীত
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় আরো একটি সাফল্য পেল ভারত। মাঝারি পরিসীমা ও উচ্চতায় পাইলটহীন বিমানের উপর সরাসরি আঘাত করতে সমর্থ হল দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল বা (কিউআরএসএএম)। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও এই পরীক্ষায় সম্পূর্ণ সফল হল।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনেট নাগাদ দিকে ওড়িশা উপকূলে অবস্থিত চান্দিপুরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই সফল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটি মাঝারি পরিসীমা এবং উচ্চতায় পাইলটহীন বিমানে সরাসরি আঘাত করতে সমর্থ হয় ওই মিসাইল। ডিআরডিও জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় রাডারগুলো দূরপাল্লার সীমানা থেকে পাইলটহীন বিমানকে লক্ষ্য করে।
হায়দরাবাদে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন পরীক্ষাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, বেঙ্গালুরুর বৈদ্যুতিন এবং রাডার উন্নয়ন সংস্থা, পুনের গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা, দেরাদুনের গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, চণ্ডীপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ডিআরডিও জানায়, পরীক্ষাটি কিউআরএসএএম দ্বারা প্রাপ্ত "বড় মাইলফলক"।
অনেক আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো কিউআরএসএএম, একটি ক্যানিস্টার-ভিত্তিক সিস্টেম, যার অর্থ এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা বিভাগ থেকে পরিচালনা করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং ডিআরডিও চেয়ারপার্সন ডাঃ জি সত্যেশ রেড্ডি পরীক্ষার পরে বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গত দুই মাসে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের নতুন সংস্করণ, রুদ্রম-১ নামে এন্টি-রেডিয়েশন মিসাইলসহ বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত।
পানিতে ভাসল ভারতের পঞ্চম স্করপেন সাবমেরিন ‘আইএনএস ভাগির’
সাগরে সমরসজ্জায় আরো শক্তিশালী ভারত। এবার জলে অবাধ রাজত্ব চালাতে নৌবাহিনীর হাতে আসছে আরও এক অত্যাধুনিক স্করপেন সাবমেরিন। বুধবার মাজগাঁও ডক থেকে যাত্রা শুরু করে স্করপেন ক্লাসের পঞ্চম ডুবোজাহাজ ‘আইএনএস ভাগির’।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোয়া থেকে সাবমেরিনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়কের স্ত্রী বিজয় নায়ক। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রজেক্ট-৭৫ এর অন্তর্গত ফরাসি অস্ত্রনির্মাতা ডিসিএনএস-এর ডিজাইন করা ছয়টি স্করপেন বা কালভরি ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত।
এরমধ্যে ‘আইএনএস কালভরি’ ও ‘আইএনএস খান্ডেরি’ নামের দু’টি স্করপেন সাবমেরিন ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘আইএনএস কারাঞ্জ’ ‘আইএনএস কারাঞ্জ’ ও আইএনএস ভেলার ‘সি ট্রায়াল’ সাগরে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এই ক্লাসের শেষ সাবমেরিন আইএনএস ভাগশির-এর নির্মাণ চলছে।
এই ডুবোজাহাজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্টেট অফ দ্য আর্ট টেকনোলজি। প্রি-গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে প্রায় নিঃশব্দে শত্রুকে জলের নিচে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে ‘আইএনএস কারাঞ্জ’। প্রায় ৬৭ মিটার লম্বা, ওজনে দেড় হাজার টনেরও বেশি এই ডুবোজাহাজ চওড়ায় প্রায় সাড়ে ছয় মিটার। এটি এমন ভাবে বানানো হচ্ছে যাতে দীর্ঘক্ষণ জলের তলায় ডুবে থাকতে পারে।
‘স্করপেন’ থেকে অনায়াসে যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। শুধু তাই নয় প্রায় শব্দহীন এই সাবমেরিনটিকে জলের তলায় খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। গোপনে শত্রুর জলসীমায় ও বন্দরের চারপাশে ‘মাইন’ বিছিয়ে দিতে এটির জুড়ি মেলা ভার।
২০১৭-সালেই যাত্রা শুরু স্করপেন ক্লাসের ‘আইএনএস কালভরি’ ও ‘আইএনএস খান্ডেরি’। ওই দুই ডুবোজাহাজও অত্যন্ত ঘাতক। ওই সাবমেরিন দুটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক টর্পেডো ও মিসাইল যা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যেও নির্ভুল ও বিধ্বংসী আঘাত হানতে সক্ষম।
স্টেলথ প্রযুক্তি বা লুকিয়ে থাকার অসাধারণ ক্ষমতার জন্য এই সাবমেরিনটি সোনার বা রাডারে প্রায় অদৃশ্য।
সূত্র : এসএএম