হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কে কোন পদে
হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কে কোন পদে - ছবি : সংগৃহীত
হেফাজতের জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমীর, আল্লামা নুর হোসাইন কাশেমীকে মহাসচিব করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট হেফাজতের কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে বহুল আলোচিত কওমিভিত্তিক অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের নিয়ে দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় এ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার শিক্ষাভবনের হল রুমে সকাল দশটায় আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবু নগরীর সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সম্মেলন কমিটির আহবায়ক আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি হেফাজতের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পরে সম্মেলনে উপস্থিত মুরুব্বীদের পরামর্শে নতুন কমিটির প্রস্তাবনা তৈরির জন্য ১২ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করেন।
নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, জুনাইদ বাবুনগরী, নুর হোসাইন কাশেমী, নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা ইয়াহইয়া,জুনায়েদ আল হাবিব, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আল্লামা মাফুজুল হক, মুফতি মুনির হোসেন, আতাউল্লাহ হাবিবী, আবদুল আউয়াল ও মাওলানা নাছির উদ্দিন মনির।
বেলা সাড়ে এগারটার পর ১২ সদস্যের এ কমিটি আলাদা বৈঠকে বসে হেফাজতের মূল কমিটির প্রস্তাবনা তৈরী করবেন। দুপুর দুটায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হক কমিটির প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে এ প্রস্তাাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হলে হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
হেফাজতের নতুন কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। নির্বাচিত হয়েছেন আরো ২৪ জন উপদেষ্টা। তারা হলেন মুফতীয়ে আযম আল্লামা আব্দুচ্ছালাম চাটগামী, হযরত আল্লামা সুলতান যওক নদভী, হযরত আল্লামা আব্দুল হালিম বুখারী, হযরত আল্লামা নূরুল ইসলাম আদীব, হযরত আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, হযরত আল্লামা নোমান ফয়জী (মেখল), হযরত আল্লামা আব্দুল মালেক হালীম, হযরত আল্লামা হাফেয মুহাম্মদ কাসেম (তালীমুদ্দীন), হযরত আল্লামা জিয়াউদ্দিন, হযরত আল্লামা মুহাম্মদ ইসহাক, হযরত মাওলানা এড.আব্দুর রকীব, হযরত আল্লামা মুফতী আবুল হাসান রংপুর, হযরত আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী নরসিংদী, হযরত আল্লামা আশেকে এলাহী বি-বাড়ীয়া, হযরত আল্লামা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা রশিদুর রহমান ফারুক, হযরত আল্লামা নূরুল হক (বটগ্রাম কুমিল্লা), অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দেওনা, হযরত আল্লামা আবুল কালাম (মুহাম্মদপুর), হযরত আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বারিধারা, হযরত আল্লামা ফজলুর রহমান নেত্রকোনা, হযরত আল্লামা সোলাইমান নোমানী, হযরত আল্লামা ফজলুল্লাহ ওয়াহেদীয়া মাদরাসা, হযরত আল্লামা শিব্বির আহমদ নোয়াখালী, হযরত আল্লামা জালাল আহমদ ভূজপুর, হযরত আল্লামা আশেক এলাহী উজানী।
নায়েবে আমীর নির্বাচিত হয়েছেন হযরত মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম (খিলগাঁও মাদরাসা), হযরত মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর রহ. (ঢাকা), হযরত মাওলানা শায়খ আহমদ (হাটহাজারী মাদরাসা), হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম অলিপুরী (হবিগঞ্জ), হযরত মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, হযরত আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ (পটিয়া), হযরত আল্লামা আবদুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), হযরত আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী (বসুন্ধরা ঢাকা), হযরত মাওলানা মুফতি মাহফুজুল হক (বেফাক মহাসচিব), হযরত মাওলানা মুহিবুল হক গাছবাড়ী (সিলেট), হযরত মাওলানা সাজেদুর রহমান (বিবাড়ীয়া), হযরত মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী (ময়মনসিংহ), হযরত আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া (হাটহাজারী মাদরাসা), হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমান( ঢাকা), হযরত মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী(ঢাকা), প্রফেসর ড. আহমদ আবদুল কাদের (ঢাকা), হযরত মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়ণগঞ্জ), প্রফেসর ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন (চট্টগ্রাম), হযরত মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী (পদুয়া মাদরাসা), হযরত মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী (নাজিরহাট মাদরাসা), হযরত মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলিল (দারুল মাআরিফ), হযরত মাওলানা মুফতি জসিম উদ্দিন (হাটহাজারী), হযরত আল্লামা হাফেজ তাজুল ইসলাম (পীর সাহেব ফিরোজশাহ), হযরত মাওলানা আনোয়ারুল করিম (পীর সাহেব যশোর), হযরত মাওলানা মোশতাক আহমদ (খুলনা), হযরত মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, (আরজাবাদ মাদরাসা), হযরত মাওলানা আনাস (ভোলা), হযরত মাওলানা রশিদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), হযরত মাওলানা জাফরুল্লাহ খান (ঢাকা), হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম খান (সুনামগঞ্জ), হযরত মাওলানা নেজাম উদ্দিন (নোয়াখালী), হযরত মাওলানা আবদুল হালিম (বরিশাল), হযরত মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস (রংপুর) ও হযরত মাওলানা জাহেদুল্লাহ (ইছাপুর মাদরাসা)।
যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হলেন হযরত মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, হযরত মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হযরত মাওলানা লোকমান হাকীম ও হযরত মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির।
সহকারী মহাসচিব হলেন হযরত মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, হযরত মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী,হযরত মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, হযরত মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, হযরত মাওলানা মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, হযরত মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, হযরত মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হযরত মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, হযরত মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, হযরত মাওলানা মুফতি আজহারুল ইসলাম, হযরত মাওলানা জসিম উদ্দিন (লালবাগ), হযরত মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, হযরত মাওলানা মহিউদ্দিন ইশরাম, হযরত মাওলানা মুসা বিন ইজহার, হযরত মাওলানা জাফর আহমদ বাথুয়া, হযরত মাওলানা শফিক উদ্দিন, হযরত মাওলানা হাসান জামিল।
সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক
হযরত মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, হযরত মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, হযরত মাওলানা মীর ইদরিস, হযরত মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, হযরত মাওলানা মাসউদুল করিম, হযরত মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, হযরত মাওলানা মুফতি ওমর ফারুক, হযরত মাওলানা তাফহীমুল হক হবিগঞ্জ ও হযরত মাওলানা মাহমুদুল আলম রংপুর।
অর্থ সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী। সহকারী অর্থ সম্পাদক, হযরত মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ ফায়সাল, হযরত মাওলানা লোকমান মাজহারী, হযরত মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মুহাম্মদ আহসানুল্লাহ।
প্রচার সম্পাদক হযরত মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, সহকারী প্রচার সম্পাদক হযরত মাওলানা ইয়াকুব ওসমানী, হযরত মাওলানা ফায়সাল আহমদ, হযরত মাওলানা মুফতি শরীফুল্লাহ, হযরত মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, হযরত মাওলানা হাফেজ সায়েমুল্লাহ।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতি হারুন ইজহার, সহকারী শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হযরত মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল, সাহিত্য ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হযরত মাওলানা হারুন আযিযী নদভী, সহকারী সাহিত্য ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক, হযরত মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ।
দফতর সম্পাদক হযরত মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব, সহকারী দফতর সম্পাদক হযরত মাওলানা আবু তাহের ওসমানী, হযরত মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফায়েল।
সমাজকল্যাণ সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতি কুতুবউদ্দিন নানুপুরী, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক হযরত মাওলানা হাফেয সালামতুল্লাহ।
আইন বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক, এডভোকেট মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন।
দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক হযরত মাওলানা নাজমুল হাসান, সহকারী দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক,
হযরত মাওলানা মোশতাকন্নবী কাসেমী, হযরত মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী (দৈনিক ইনকিলাব), সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক, হযরত মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, সহকারী ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হযরত মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, হযরত মাওলানা গাজী ইয়াকুব।
ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হযরত মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ খোবাইব, সহকারী ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হযরত মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।
আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হযরত মাওলানা হাফেজ হেলাল উদ্দিন নানুপুরী, সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হযরত মাওলানা হাফেয আনোয়ার শাহ আযহারী, হযরত মাওলানা আবদুল কাদের সালেহ (লন্ডন), হযরত মাওলানা শোয়াইব আহমদ, হযরত মাওলানা আব্দুস সালাম পাটোয়ারী (রিয়াদ), হযরত মাওলানা রফিক আহমদ (নিউইয়র্ক), হযরত মাওলানা গোলাম কিবরিয়া(লন্ডন)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক হযরত মাওলানা ড. নুরুল আবসার আজহারী (হাটহাজারী মাদরাসা), সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মাওলানা মুফতি হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক (চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়), সম্মানিত সদস্য হযরত মাওলানা আবু তাহের নদভী (পটিয়া), হযরত মাওলানা মুফতি কেফায়তুল্লাহ (হাটহাজারী), হযরত মাওলানা মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, হযরত মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, হযরত মাওলানা আবদুল্লাহ হারুন (চারিয়া মাদরাসা), হযরত মাওলানা আলী ওসমান, হযরত মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহ, হযরত মাওলানা মোহাম্মদ শফি, হযরত মাওলানা আবুল হোসাইন (সমদারপাড়া), হযরত মাওলানা আনোয়ারুল আলম, হযরত মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, হযরত মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, হযরত মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, হযরত মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমী (বি.বাড়িয়া), হযরত মাওলানা ক্বারী জহিরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা জামিল আহমদ চৌধুরী (মৌলভী বাজার),হযরত মাওলানা বশির আহমদ (মুন্সিগঞ্জ), হযরত মাওলানা তফাজ্জুল হক আজিজ, হযরত মাৗলানা আলী আকবর (সাভার), হযরত মাওলানা আবদুর রহিম (নরসিংদী), হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, (মানিকনগর), হযরত মাওলানা মুফতী আবু সাঈদ (ফরিদাবাদ), হযরত মাওলানা এনামুল হক আল মাদানী, হযরত মাওলানা আবদুল মুবিন,
হযরত মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ জামী (কিশোরগঞ্জ), হযরত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, হযরত মাওলানা হাফেয শোয়াইব মক্কী, হযরত মাওলানা নুর হুসাইন নূরাণী, হযরত মাওলানা আব্দুল মান্নান আম্বর শাহ, হযরত মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, হযরত মাওলানা সাঈদ নূর (মানিকগঞ্জ), হযরত মাওলানা মোহাম্মদ ওমর ফারুক (ফেনী), হযরত মাওলানা আলী আজম (বি.বাড়িয়া), হযরত মাওলানা মুফিজুর রহমান (নেত্রকোনা), হযরত মাওলানা মাহমুদ শাহ (বাবুনগর), হযরত মাওলানা তৈয়ব বিন হালিম, হযরত মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী ও হযরত মাওলানা রাশেদ বিন নুর।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই হেফাজতের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শাপলা চত্বরের ঘটনার পর তিনি গ্রেফতার হন। মাওলানা নূর হোসাইন কাশেমী হেফাজতের ঢাকা মহানগর আমীরের দায়িত্বে ছিলেন।