ট্রাম্পকে ডিভোর্স দিলে কত টাকা পাবেন মেলানিয়া?
ট্রাম্পকে ডিভোর্স দিলে কত টাকা পাবেন মেলানিয়া? - ছবি : সংগৃহীত
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ছাড়লে বেশ বড় অঙ্কের টাকা আসতে পারে মেলানিয়ার কাছে। এর আগেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, মেলানিয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন।
ইংল্যান্ডের ‘ডেইলি মেইল’ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মেলানিয়া ট্রাম্প অপেক্ষা করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কখন হোয়াইট হাউজ ছেড়ে বেরবেন। সেই মুহূর্তেই তাকে ডিভোর্স নোটিস ধরাবেন। ট্রাম্পের প্রশাসনিক সহযোগী স্টেফিনি ওয়াকফ জানিয়েছেন, ট্রাম্প দম্পতি নাকি হোয়াইট হাউজে দু’টি আলাদা ঘরে ঘুমান। কারণ তাদের বিবাহ সাধারণ বিবাহের মতো নয়। বলা যায়, ‘লেনদেনের সম্পর্ক’। তারপর জানা গেল, মেলানিয়া বিবাহ–পরবর্তী চুক্তির কথা তুলেও ফেলেছেন। তিনি চান ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্ধেক সম্পত্তি যেন তাদের ছেলে ব্যারনকে দেয়া হয়।
আরেক প্রশাসনিক সহযোগী ওমারোসা জানিয়েছেন, ১৫ বছর হয়ে গেছে তাদের বিয়ের। মেলানিয়া নাকি প্রত্যেক মুহূর্ত গুনছেন। কবে ট্রাম্প হোয়াইট ছাড়বেন, আর তিনি ট্রাম্পের হাত ছাড়বেন।
ডিভোর্সের আইনজীবী জানিয়েছেন, মেলানিয়া আশা করছেন ৫০ মিলিয়ন ডলার পাবেন তিনি। ট্রাম্পের সাবেক দুই স্ত্রী যা পেয়েছিলেন, তার যোগফলের থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ টাকা তিনি পেতে পারেন।
১৯৮৮ সালে ম্যানহ্যাটানের একটি পার্টিতে মডেল মেলানিয়া নসের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেদিনই তার নম্বর চেয়েছিলেন ট্রাম্প। পরের বছর থেকেই তারা সম্পর্কে জড়ান। ২০০৫ সালে বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে পুত্রসন্তান ব্যারনের জন্ম। অন্য দিকে ট্রাম্পের আগের পক্ষের আরো চার সন্তান রয়েছে। আপাতত দশজন নাতি নাতনি নিয়ে তার পরিবার।
সূত্র : আজকাল
চীনকে আরো নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
রয়টার্স
চীনের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার এমপিকে বহিষ্কারের ঘটনাকে সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে বেইজিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিল ওয়াশিংটন। গত বুধবার দিনের শুরুতে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার এমপিকে বহিষ্কার করেন হংকংয়ের নির্বাহী। কিছুদিন আগেই বেইজিং একটি নতুন বিল পাস করেছে, যার ফলে আদালতের নির্দেশ না নিয়েই সংসদ সদস্যদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা পেয়েছে সরকার।
ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনো এমপি যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হন, তারা যদি হংকংয়ের স্বাধীনতার কথা বলেন এবং শহরটির ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করেন অথবা বিদেশী হস্তক্ষেপ কামনা করেন, তবে তাদের বহিষ্কার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রিয়েন বলেন, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী চার এমপিকে বহিষ্কারের ঘটনায় কোনো সন্দেহ নেই যে সেখানে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন, হংকংয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের স্বাধীনতা দমনের অভিযোগে আরো চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ দিকে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার এমপিকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে একযোগে পদত্যাগ করেছেন বিরোধীদলীয় আরো ১৫ এমপি। শহরটির ৭০ সদস্যের পার্লামেন্টে তারাই ছিলেন অবশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী নেতা। গণপদত্যাগ করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে চীন।