নাগর্নো-কারাবাখে আর হামলা চালাতে পারবে না আর্মেনিয়া

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Nov 11, 2020 01:10 pm
নাগর্নো-কারাবাখে আর হামলা চালাতে পারবে না আর্মেনিয়া

নাগর্নো-কারাবাখে আর হামলা চালাতে পারবে না আর্মেনিয়া - ছবি সংগৃহীত

 

যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে দ্রুত পদক্ষপ গ্রহণ করেছে রাশিয়া। তুরস্কও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর। এই প্রেক্ষাপটে নাগর্নো-কারাবাখে দুই হাজার সেনা সদস্য, ৯০টি ট্যাঙ্ক এবং ৩৮০টি গাড়ি পাঠিয়েছে রাশিয়া। বুধবার থেকে গোটা এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী শক্তি হিসেবে সেখানে অবস্থান করবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সোমবারই আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়ার মধ্যে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে শান্তি চুক্তি সই হয়েছিল। ওই চুক্তিতেই বলা হয়েছিল, আপাতত গোটা এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে রাশিয়ার সেনা বাহিনী।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িপ এরদোন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, রাশিয়ার পাশাপাশি তুরস্কও নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে। বস্তুত, সোমবারের চুক্তির পর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কোনো পক্ষই আর যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। আজারবাইজান সোমবারের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বিষয়টিকে তাদের জয় হিসেবেই দেখছে। মঙ্গলবার আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানিয়েছেন, বহু দিন ধরেই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আজারবাইজানের মানুষ।

অন্য দিকে আর্মেনিয়ায় মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে বিক্ষোভ। কেন সরকার এই চুক্তি মেনে নিল, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ান মঙ্গলবারও বলেছেন, মন ভার করেই তাকে এই চুক্তি মেনে নিতে হয়েছে।

নব্বইয়ের দশক থেকে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সংঘর্ষ। ওই সময় দুই পক্ষের যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যুদ্ধ থামলেও বিতর্ক থামেনি। আন্তর্জাতিক ভাবে নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের এলাকা হলেও সেখানে বসবাস করেন আর্মেনিয়ার জনগোষ্ঠী। দীর্ঘদিন সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কার্যত স্বাধীন সরকার পরিচালনা করেছে। আর্মেনিয়া তাদের মদত দিয়েছে। এরই বিরুদ্ধে এ বার ফের যুদ্ধ শুরু করে আজারবাইজান। গত প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই পক্ষেরই।

রাশিয়া ও আমেরিকা এর আগে তিনবার যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছে। দুই দেশকে বৈঠকে বসিয়েছে। চুক্তিও হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। সোমবারের চুক্তি নিয়েও অনেকের ধারণা ছিল, শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না। কিন্তু মঙ্গলবার ও বুধবার সকালে কোনো পক্ষই সংঘর্ষে নামেনি। তারই মধ্যে এলাকায় পৌঁছে গেছে রাশিয়ার সেনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তিতে আসলে লাভ হয়েছে আজারবাইজানের। ঠিক হয়েছে, সাম্প্রতিক যুদ্ধে যে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সে সেখানেই থাকবে। আজারবাইজান শেষ কিছু দিনে নাগর্নো-কারাবাখের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো দখল করে ফেলেছে। রাজধানী লাগোয়া শুশা এখন তাদের দখলে। ফলে চুক্তিতে তাদেরই লাভ হয়েছে বেশি। এ ছাড়াও চুক্তিতে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে আর্মেনিয়া নাগর্নো-কারাবাখের জমি ছেড়ে দেবে।

মঙ্গলবার থেকেই আর্মেনিয়ায় এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সরকারি অফিসের সামনে জনগণ লাগাতার আন্দোলন করছে। চুক্তি ভেঙে ফের আক্রমণের কথাও বলছেন অনেকে। যদিও রাশিয়া এলাকায় সৈন্য মোতায়েন করে দেয়ার পর তা আর সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us