এবার নতুন অভিযোগ ট্রাম্পের
ট্রাম্প - ছবি সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগণনার গোড়া থেকেই ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে কারচুপি এবং ভোটচুরির অভিযোগে সরব ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হারের জন্য এবার তার নিজের প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও ফাইজারের টিকার খবর চেপে রাখার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দিলেন বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।
সোমবারই জানা গেছে, আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের কোভিড টিকা ৯০ শতাংশ সফল। কিন্তু ট্রাম্পের অভিযোগ, আগেই এই ফল জানা গেলেও পাঁচ দিন ধরে তা প্রকাশ্যে আনেনি আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনস্ট্রেশন’ (এফডিএ)। পর পর টুইটে ট্রাম্পের তোপ, রিপাবলিকানরা যাতে ভোটে টিকার সুখবরের সুবিধা না পান, তার জন্যই এই খবর চেপে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি, তার প্রশাসনের চেষ্টাতেই যে এত তাড়াতাড়ি টিকা তৈরি হয়েছে, সেই কৃতিত্বও দাবি করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ‘ডেমোক্র্যাটরা চায়নি ভোটের আগে আমি ভ্যাকসিনের সুবিধা পাই। তাই পাঁচ দিন পর এই খবর দেয়া হলো। যা আমি আগে থেকেই বলে আসছি’। অন্য টুইটে তার বক্তব্য, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমি বলে আসছি, ভোট পেরিয়ে গেলেই ফাইজার ও অন্য সংস্থাগুলো টিকার কথা ঘোষণা করবে। কারণ, ভোটের আগে তাদের সেই ঘোষণা করার সাহস নেই। যেমন সাহস নেই এফডিএ-র’।
কিন্তু ঘোষণা যখনই হোক, টিকা তৈরির কৃতিত্ব য়ে তার আমলেরই, সেটাও স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে এফডিএ এবং ডেমোক্র্যাটদের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে তার তোপ, ‘জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকলে আরো ৪ বছরেও আপনারা টিকা পেতেন না। এফডিএ-ও এত দ্রুত ক্লিনচিট দিত না। লাখ লাখ মানুষের জীবন ধ্বংস করেছে আমলাতন্ত্র। রাজনৈতিক কারণে নয়, জীবন বাঁচানোর জন্যই এই ঘোষণা আগে করা উচিত ছিল এফিডএ-র’।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ বার অন্যতম ইস্যু ছিল করোনাভাইরাস। সারা বিশ্বের মধ্যে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আমেরিকায়। ভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ বলে ভোটপ্রচারে ইস্যু করেছিল হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটরা। পাঁচ দিনের টানাপড়েনের পর শনিবার ভোটের ফলে স্পষ্ট হয়, ট্রাম্প আর হোয়াইট হাউসে ফিরছেন না। ভোট পর্যবেক্ষকদের সিংহভাগের মত, করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব না দেয়ার মাসুল দিতে হয়েছে ট্রাম্পকে।
ভোটের ফল স্পষ্ট হওয়ার পর সোমবার ফাইজার ঘোষণা করে, তাদের তৈরি কোভিড টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী। সংস্থার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের ৯০ শতাংশের মধ্যে কার্যকর ফল মিলেছে। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন কার্যকারিতা রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ফাইজারের সাফল্যকে স্বাগত জানিয়ে বাইডেন বলেছেন, ‘আশা জাগানো এই খবর দেওয়া এবং টিকা তৈরির জন্য যারা কাজ করছেন, তাদের অভিনন্দন। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের আরো কয়েক মাস বাকি’।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা