বাইডেন আসায় ভারতের লাভ না ক্ষতি?

স্যমন্তক ঘোষ | Nov 08, 2020 01:41 pm
ট্রাম্প, মোদি ও বাইডেন

ট্রাম্প, মোদি ও বাইডেন - ছবি সংগৃহীত

 

আম-আদমির ভারত-মার্কিন সম্পর্কেও আসল প্রশ্ন ওই উইপোকা। প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ট্রাম্প বসুন অথবা বাইডেন, তাতে ভারতের কী? আমেরিকার প্রেসিডেন্টের, আমেরিকার মানুষের, আমেরিকার নীতিনির্ধারকদের সত্যিই কি অর্থনৈতিক ভাবে শত গুণ দুর্বল ভারত নিয়ে কিছু এসে যায়?

ক্ষমতায় এসে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বহু কাণ্ড করেছেন। যা করেছেন, তা সব সময় খুব সিসনড রাজনীতিকসুলভ নয়। যা বলেছেন, তার মধ্যে নাটক বেশি, বাস্তবতা কম। এ সব কথা অনেকেই বলেছেন, আবার বলবেন নিশ্চয়। তবে সেই অনেক কিছুর মধ্যে ট্রাম্প এমন কিছু কাজ করেছেন, যা ভারতের খুব পক্ষে যায়নি। না, ট্রাম্প কখনও 'উইপোকা' শব্দটি ব্যবহার করেননি। কিন্তু যে স্বপ্নে বাংলাদেশের মানুষ কাজের সন্ধানে ভারতে ঢুকে পড়েন, সেই একই স্বপ্নে ভারতের তথাকথিত মধ্যবিত্ত আমেরিকার ভিসার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। একটা এইচওয়ানবি ভিসা মানে, স্বপ্নের একটি মাইলফলক। ট্রাম্প ভারতীয় স্বপ্নের সেই বাড়া ভাতে পানি ঢেলেছেন। তাতে ভারতবাসীর যাই মনে হোক না কেন, আমেরিকানদের একাংশ যার পর নাই খুশি হয়েছেন। কারণ, কম পয়সার কেরানিদের জায়গায় তাদের কিছু কাজ জুটবে। জো বাইডেন জমানায় সেই পরিস্থিতির কি কিছু বদল ঘটবে? ভারত-মার্কিন ভবিষ্যৎ সম্পর্কের প্রশ্নে এটি এবং একমাত্র এই প্রশ্নটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা যায়। দোহাই এর বাইরে গূঢ় ভূ-রাজনৈতিক কূটনৈতিক আলোচনার সেমিনারে ঢুকবেন না। তাতে আলোচনা দীর্ঘ হবে, ফলাফল লবডঙ্কা।

গত কয়েক মাস ধরে, বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে ভারত-আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের সাংঘাতিক উন্নতি হয়েছে বলে এক দল খোল-করতাল নিয়ে বাজারে নেমে পড়েছেন। আমেরিকা ভারতের কত বড় বন্ধু, তার ফিরিস্তি গাইছেন। নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে নির্দিষ্ট কিছু যুক্তিও সাজাচ্ছেন তারা। চলতি টেলিভিশন ন্যারেটিভের দুনিয়ায় যুক্তিগুলো মাঝে মাঝে সত্যি মনে হয়। কী বক্তব্য তাদের? আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা। কারণ, উপত্যকা থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার পরে এবং জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দু'টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করে দেয়ার পরও আমেরিকা সেই অর্থে ভারতের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করেনি। নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান চীনকে দিয়ে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও আমেরিকা সেই আলোচনা চলতে দেয়নি। নরেন্দ্র মোদি আমেরিকায় গিয়ে 'হাউডি মোদি' সম্বর্ধনা পেয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে এসে 'নমস্তে ট্রাম্প' রোড শো করেছেন। এ সবই আসলে সম্পর্কে উন্নতির এক একটি স্তম্ভ। সম্প্রতি ভারত-চীন লাদাখ সংঘাতে আমেরিকা বেশ কয়েকবার সরব হয়েছে। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে কটাক্ষ করে ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টু প্লাস টু বৈঠকে ভারতে এসে চীনকে 'চেতাবনি' দিয়ে গিয়েছেন। ভারত-আমেরিকা সামরিক স্যাটেলাইট ইমেজ শেয়ার করার চুক্তি করেছে। গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের চুক্তি করেছে। ঠান্ডার লাদাখে ভারতীয় সেনার জন্য পোশাক এবং সরঞ্জাম পাঠিয়েছে আমেরিকা।

সন্দেহ নেই, তথ্যগুলি অভ্রান্ত। কিন্তু তাতে কার কী এসে গেল? ভারত-চীন যুদ্ধ হলে আমেরিকা কি সৈন্য পাঠাবে? ভারতীয় নৌসেনার উন্নতিকল্পে আমেরিকা কি অনুদান দেবে? মার্কিন বিমানবাহিনী লাদাখের পাহাড়ে চক্কর কাটবে? ভারতের জন্য মার্কিন বাজার খুলে দেবে আমেরিকা? লাখ লাখ ভারতীয় অভিবাসীকে ফুল-চন্দন দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে? মনে রাখলে ভালো, ভূ-রাজনীতির কূটনীতিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে। তার এক নিজস্ব স্রোত থাকে। গত চার বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি করেননি, যা স্রোতের বাইরে বলা চলে। স্বাভাবিক নিয়মেই যা ঘটার ঘটেছে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। ভারতকে নিয়ে আলাদা করে মাথা ঘামানোর কোনো কারণ ঘটেনি আমেরিকার। ভারত আমেরিকার কাছে কখনোই তত গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইডেনটিটি বা দেশ নয়। হ্যাঁ, ভারতের বড় বাজার। সেখানে জিনিস বেচতে পারলে আমেরিকার সুবিধা। ব্যস, ওই পর্যন্তই। আর একটি জরুরি বিষয় আছে। দুই ভাইয়ের ঝগড়া।

ভারত-পাকিস্তানের ঝগড়া পারমাণবিক আকার যাতে ধারণ না করে, সে দিকে শুধু আমেরিকা নয়, গোটা বিশ্বেরই চোখ আছে। বড় দাদা হিসেবে আমেরিকা তাই বরাবরই দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করে। কখনো বেশি, কখনো কম। ওবামা হয়তো বেশি করেছেন, ট্রাম্প সামান্য হলেও ভারতের দিকে টেনে খেলেছেন। কাশ্মির সঙ্কটে দুই ভাইয়ের মধ্যে মধ্যস্থতাও করতে চেয়েছেন। কিন্তু তাতে সাংঘাতিক কোনও কূটনৈতিক পরিবর্তন ঘটে যায়নি। বরং বিক্রিবাটায় অতিরিক্ত কর বসিয়ে ভারতের জন্য খানিক সমস্যাই তৈরি করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প চাইলে কি স্রোতের বাইরে যেতে পারতেন না? অবশ্যই পারতেন। পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাত এবং কাতারের ঐতিহাসিক কূটনৈতিক সন্ধি করিয়েছেন ট্রাম্প। আরব আমিরাত এবং কাতার গাজা স্ট্রিপের গুলি সুতো গিলে ফেলতে বাধ্য হয়েছে। ঘোর জটিল পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। বহু দশক এই কথা ভাবতেই পারেননি কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ যুদ্ধে ইতি টেনে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য কেবল ফেরতই আনেননি ট্রাম্প, তালিবানের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন। বোঝাই যায়, যেখানে প্রয়োজন ছিল, যেখানে মার্কিন ব্যবসা এবং ভাবাবেগকে নিজের আস্তিনে আনার সুযোগ ছিল ট্রাম্পের, সেখানে তিনি প্রথাগত কূটনীতির বাইরে গিয়েই ব্যাট চালিয়েছেন। কতটা সফল হয়েছেন, কতটা গ্যালারির জন্য খেলেছেন, তা ভিন্ন বিতর্ক। ভারত প্রশ্নে ট্রাম্পের সেই গ্যালারি শোয়ের প্রয়োজন হয়নি। কারণ, ভারত নিয়ে মার্কিন জনমনে তত উৎসাহ নেই। প্রশ্ন উঠতে পারে, তা হলে কি হাউডি মোদি, নমস্তে ট্রাম্পের কোনো গুরুত্ব নেই? কূটনীতিকদের কাছে নেই। এক সময় ওবামা ভারতে এসে সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ সেই ঘটনাও সম্পর্কের এক চরম মুহূর্ত বলে মনে করেছিলেন। বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। জর্জ বুশ-মনমোহনের দোস্তি নিয়েও একসময় আলোচনা হয়েছে বিস্তর। ওই সময় ওটাই ছিল রাজনীতিকদের কথা বলার দস্তুর। মোদি-ট্রাম্পের রাজনীতিতে হাউডি-নমস্তেই খাপ খায়। তাতে অভিবাসী ভারতীয় এবং জাতীয়বাদী ভোটারের উত্তেজনা হতে পারে, কূটনীতির কিস্যু যায় আসে না। ভারত-মার্কিন কূটনীতি বরাবরই তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরের কূটনীতিকদের হাতে ছিল, অদূর ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।

আয়নার সামনে দাঁড়ালে সকলেরই নিজেকে রাজা মনে হয়। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জমানায় রাজাভাব আরো বেশি জাগে। ভারতের একাংশের মানুষের এবং রাজনীতিবিদদের ভাবতে ভাল লাগে, আমেরিকা হঠাৎ খুব বন্ধু হয়ে গেছে। সেই ভাবনা আর একটু পানি হাওয়া পায়, কারণ শত্রুটি কমন পড়ে গিয়েছে। চীন নিয়ে আমেরিকার অস্বস্তি বহু দিনের। কারণ সহজ, চীন বহু দিন আগেই মার্কিন অর্থনীতির পাকা ধানে মই দিয়ে রেখেছে। ট্রাম্প নাটকীয়, তাই তার আমলে দৃশ্যত দুই দেশের সংঘাত বেড়েছে। আমেরিকার কয়েকটি রাজ্যে চীনের কনসুলেট বন্ধ হয়েছে। দূতাবাসের কিছু কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। জবাবে একই কাজ করেছে চীনও। হংকং এবং তাইওয়ান নিয়ে আরো আগ্রাসী হয়েছেন শি জিনপিং। ফলে আমেরিকা এশিয়া প্যাসিফিকে ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে আরো চিন্তিত হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে সামান্য কিছু ব্যবস্থাও নিয়েছে। টিকটক জাতীয় কিছু অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ট্রাম্প যথেষ্ট শোরগোল করেছেন। যদিও কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে সাংঘাতিক কোনো পরিবর্তন হয় না। মোদ্দা বিষয় হলো, এশিয়া প্যাসিফিকে চীনের আধিপত্য। সেই আধিপত্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে চীন নিয়ে আমেরিকার আরো সিরিয়াস হওয়া ছাড়া উপায় নেই। ক্ষমতায় এসে বাইডেন চীন নিয়ে ট্রাম্পের মতো সরব না হলেও সংঘাত বন্ধ হয়ে যাবে না। বরং আরো বাড়তে পারে। ভূ-রাজনীতির কারণেই তা বাড়বে।

ভারতের মনে হচ্ছে, চীন নিয়ে আমেরিকা সরব হচ্ছে মানে, ভারতের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। এটা অঙ্কের হিসেব। রাজনীতি বা কূটনীতি অঙ্কের হিসেবে চলে না। ভারতের সঙ্গে চীনের যে সংঘাত শুরু হয়েছে সীমান্তে তা নিয়ে আমেরিকার যদি সত্যিই মাথাব্যথা থাকত তা হলে অনেক আগেই এ বিষয়ে অনেক কঠিন পদক্ষেপ করতে পারত মার্কিন কূটনীতি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চীনের অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করেছেন। দেশ জুড়ে জনগণের একাংশ চীন বিরোধী ‘জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে’ নেমে পড়েছেন। সত্যিই কি তাতে চীনের জন্য ভারতের বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছে? সাম্প্রতিকতম বাণিজ্য রিপোর্টও সে কথা বলছে না। আমদানি রফতানিতে সামান্যই তফাৎ হয়েছে। যতই যুদ্ধ পরিস্থিতি হোক, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করার অর্থনৈতিক শক্তি এখনো ভারতের নেই। সেটা চীন যেমন জানে, আমেরিকাও জানে।

যা হয় না, তা নিয়ে আলোচনাও হয় না। সত্য তাই, যা তৈরি করা হয়। এবং ঠিক সেটাই ঘটছে। ভারতের জাতীয়বাদী সরকার আমেরিকা-চীন সংঘাতে নিজেদের একটি পার্টি হিসেবে দেখছে। জাপানে চার দেশ বৈঠক, মালাবার উপকূলে চার দেশ নৌ-মহড়াকে সম্পর্কের উন্নতির সোপান হিসেবে দেখানো হচ্ছে। যদিও এই কোনো বৈঠকই নতুন কিছু নয়। নতুন নয় টু প্লাস টু বৈঠক। সম্প্রতি ভারতে যে বৈঠকে এসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনের বিরুদ্ধে তুমুল গলা ফাটিয়ে গিয়েছেন। এটাও স্বাভাবিক কূটনীতি। মনে করার কারণ নেই, লাদাখ সীমান্তে আর একটা গালওয়ান হয়ে গেলে মার্কিন সেনা সেখানে পৌঁছে যাবে। অথবা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকা চীনের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) জারি করবে।

প্রশ্ন হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেন আসায় ভারতের লাভ হলো, না কি ক্ষতি? উত্তর, কোনোটাই নয়। ওবামা আসায় যেমন হয়নি, ট্রাম্প আসায় যেমন হয়নি, বাইডেন এসেও তেমন কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না। ভালো-মন্দ কিছুই নয়। জাতীয়তাবাদী ট্রাম্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু কড়াকড়ি করেছিলেন। বাইডেন এসে যদি ফের বাজার খুলে দেন, তা হলে গোটা বিশ্বের বাণিজ্যই উপকৃত হবে। তার লাভ পাবে ভারতও। ভিসা ইত্যাদি নিয়ে বাইডেন যদি কড়াকড়ি শিথিল করেন, তা হলে লাভ হবে ভারত-সহ উপমহাদেশের অসংখ্য 'উইপোকা'র। এই লাভ যদি ভারত এভারেস্ট-সম পুরস্কার বলে মনে করে, তা হলে পাঠকের সামনে নতজানু হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আবার অন্য ভয়ও আছে। কাটা ঘায়ে নুন পড়লে চিড়বিড় করে। কোনো কোনো আমেরিকানের নীতিবাগীশ হওয়ার প্রবণতা আছে। এক সময় ওবামার তা ছিল। বাইডেনেরও যদি সেই প্রবণতা থাকে, তা হলে মাঝে মধ্যে কাশ্মীর প্রসঙ্গে, জলবায়ু এবং দূষণ প্রসঙ্গে ভারতের একটু গা জ্বলতে পারে। তাতে কূটনীতির কোনো তফাত হয় না, সাময়িক জ্বালা হয়।

পুনশ্চ : একটি কথা না বললেই নয়। উচ্চবর্ণ হিন্দু নিয়ন্ত্রিত ভারতের রাজনীতি এখনো হীনন্মন্যতায় ভোগে। এই রাজনীতির সব চেয়ে বড় সমস্যা হলো, তারা ভাবে কলকাতার ময়দানে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বক্তৃতা করলে আমেরিকার সাংঘাতিক গায়ে লাগে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবেকানন্দের নাম উচ্চারণ করতে না পারলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়। সবরমতী আশ্রমে গান্ধীর কথা না লিখলে কূটনৈতিক গোলযোগ হয়ে যায়। আসলে কিছুই হয় না। আমেরিকার রাজনীতি, কূটনীতি এবং নাগরিক ভাবাবেগের এ সব কোনো কিছুতেই কিছু যায় আসে না। হিন্দিতে একটি কথা আছে— অওকাত সমঝো। নিজেদের অবস্থানটি স্পষ্ট বুঝে নেয়ায় কোনো দোষ নেই।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us